
সিপিএম প্রার্থীদের মধ্যে এবার এক ঝাঁক নতুন মুখ। তাদের অন্যতম পৃথা তা। বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী পৃথা সিপিএমের যুব ফ্রন্টের কর্মী হিসাবে গত কয়েক বছর দারুণ সক্রিয় থেকেছেন। তাঁর আরেকটা পরিচয়, তিনি প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক প্রদীপ তা-র কন্যা। পৃথার বাবা ২০১২ সালে বর্ধমান শহরে সিপিএমের একটি মিছিল চলাকালীন খুন হন। সেই সঙ্কট, যা যুগপৎ ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক, তা পেরিয়ে এসে পৃথা আজ বিধানসভায় প্রার্থী। এই যাত্রা এবং জরুরী রাজনৈতিক প্রশ্নগুলো নিয়ে তাঁর সঙ্গে nagorik.net-এর পক্ষে কথা বললেন প্রতীক
প্রতীক: পৃথা, আপনি যে প্রজন্মের মানুষ তার দু-তিন প্রজন্ম আগে থেকেই বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়েকে শেখাচ্ছেন “রাজনীতি খুব খারাপ জিনিস। রাজনীতির ধারে কাছে যাবে না।” এরকম বলার অনেক কারণের মধ্যে একটা অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার দীর্ঘ ইতিহাস। সেই হিংসা আপনাকে সরাসরি স্পর্শ করেছে। তারপরেও আপনি রাজনীতিতে এসেছেন। যারা রাজনীতিতে আসতে চায় তাদের কী বার্তা দিতে চাইবেন?
পৃথা: হিংসার বাতাবরণের কারণে বাবা-মায়েরা ভয় পান ঠিকই। কিন্তু যে কোন কাজেরই কিছু ইতিবাচক, কিছু নেতিবাচক দিক থাকে। রাজনীতিরও তাই। যারা রাজনীতি করতে আসবে, তাদের এগুলো মাথায় রেখেই আসতে হবে। আর সত্যি সত্যি রাজনীতিতে আসতে চাইলে বারণ করে কাউকে বেশিদিন আটকে রাখা যায় না।
প্রতীক: আপনার বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বেশ জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে প্রায় এক দশক ধরে। অল্পবয়সী ভোটারদের মধ্যে বিজেপি বেশ জনপ্রিয়। যারা সক্রিয়ভাবে বিজেপি করে না, তাদের কথাবার্তা বা সোশাল মিডিয়া পোস্টেও প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারা, প্রাচীনপন্থী মতামতের প্রাবল্য। এমন কেন হচ্ছে বলে মনে হয়? চিরকাল তো অল্পবয়সীরা বামপন্থীদের দিকেই আকৃষ্ট হত বেশি। বামপন্থীরা দক্ষিণপন্থী রাজনীতির শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারছে না বলেই কি এরকম হচ্ছে?
পৃথা: এটা একেবারেই ভুল ধারণা। আমি গ্রামাঞ্চলে ঘোরা এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অল্পবয়সীদের দক্ষিণপন্থার দিকে আকৃষ্ট হওয়ার ব্যাপারটা কলকাতাকেন্দ্রিক। সেই জন্যে চোখে পড়ে বেশি এবং এটাই প্রচার করা হয়। বাস্তব চিত্র একদমই অতটা খারাপ নয়। বরং বিরাট সংখ্যক অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে মার খাওয়া দেখে, বিপদের সম্ভাবনা মেনে নিয়ে বাম রাজনীতি করতে আসছে। এটা কেমন জানেন তো? এই যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে ছেলেমেয়েরা বাংলা বই পড়া ছেড়ে দিয়েছে? এটাও কিন্তু শহরকেন্দ্রিক ধারণা। আমরা তো দেখি প্রচুর ছেলেমেয়ে বাংলা বই পড়ে। এগুলো আসলে তৈরি করা মিথ।
প্রতীক: আচ্ছা, বর্ধমানকে তো একসময় বাম দুর্গ বলা হত। সেখান থেকে পিছু হটতে হটতে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ঐ জেলায় বামফ্রন্ট ২৫-এ পাঁচ আর লোকসভা নির্বাচনে তো শূন্যই। এটা কেন হল?
পৃথা: সব জায়গাতেই আমাদের শক্তি যে কমেছে তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই, বর্ধমানেও তাই হয়েছে। আবার সংগঠন নিজেদের মত করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, নতুন ক্যাডার বাহিনী তৈরি করার চেষ্টা করছে। আগেকার নানা কার্যকলাপে মানুষ অসন্তুষ্ট হয়েছেন, নানা কারণে মানুষের মনে ক্ষোভ জন্মেছিল। সেগুলো স্বীকার করে নিয়ে সেইসব অভিযোগ মেটানো, হারানো জায়গা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
প্রতীক: বিধায়ক হলে বর্ধমানের জন্য আলাদা করে কোন পরিকল্পনা আছে?
পৃথা: অবশ্যই, একগুচ্ছ পরিকল্পনা আছে। বর্ধমানের পৌরসভার সমস্যার কথা তো আগেই বললাম। তাছাড়া বড় নীলপুর মোড়ে একটা গেট তৈরি হল, তারপর সেটাকে ভেঙে দেওয়া হল, তাতে একগাদা টাকা তছরুপ হল। এই দুর্নীতির প্রতিকার করতে হবে। সবথেকে বড় কথা এটা নিরুপম সেনের কেন্দ্র। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বেকারদের জন্য স্বপ্ন বুনেছিলেন। আপনি যদি গড়িয়া থেকে করুণাময়ীর দিকে যান, দেখবেন রাস্তার দু পাশে ইনফোসিসের জন্য বরাদ্দ করা জমিতে একের পর এক বিলাসবহুল হোটেল উঠেছে। বড়লোক বাবুদের বাড়ির ছেলেরা সেখানে গিয়ে ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দেন, আর আমার আপনার বাড়ির ছেলেকে যেতে হয় বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে। লকডাউন জুড়ে আমাদের কাছে অজস্র ফোন আসত “দিদি, মায়ের প্রেশার নেমে গেছে। একটু ওষুধটা কিনে বাড়িতে দিয়ে আসবে?” বা “বাবা বাজারে বেরোতে পারছে না, একটা ব্যবস্থা করে দেবে?” মানে প্রচুর মানুষ আছেন, যাঁদের ছেলেমেয়েরা কাজের জন্যে রাজ্যের বাইরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে থেকে মেধার এই বহির্গমন বন্ধ করতে হবে। অন্তত নিরুপম সেনের কেন্দ্রে তো বন্ধ করতেই হবে। নিরুপম সেন যেদিন বর্ধমানে হেরেছিলেন, তিনি হারেননি। আসলে পশ্চিমবঙ্গের বেকাররা হেরে গিয়েছিল। তাঁর স্বপ্নকে সত্যি করার লক্ষ্যে যত দূর করা সম্ভব আমি করব।
প্রতীক: আপনার বাবা খুন হওয়ার পরে শুনেছি খুবই কঠিন সময় কেটেছে আপনার পরিবারের। এখন আপনি ওখান থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
পৃথা: বাবা খুন হওয়ার পর আমার মা মাটি কামড়ে ওখানে পড়ে থেকেছেন, একদিনও বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাননি। দুর্বিষহ অবস্থায় মা প্রায় একা লড়াই করেছেন, আমি উচ্চশিক্ষার কারণে কলকাতায় চলে যাই। আমাদের এলাকা ছাড়া করার সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু মা-কে নড়াতে পারেনি কেউ। বর্ধমান শহর আমার নিজের শহর। এখানে হাজারো সমস্যা রয়েছে। বহু বছর ধরে পৌর বোর্ড নেই, নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। তাছাড়া যে সমস্যাগুলো সব জায়গায় আছে, যেমন বেকারত্ব, কৃষক আত্মহত্যার মতই বেকারদের আত্মহত্যাও আজকের জ্বলন্ত সমস্যা। প্রচণ্ড দুর্নীতি সরকারের সব ক্ষেত্রে, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও। ফসলের দাম, নারীর নিরাপত্তা — এরকম যে ইস্যুগুলোকে সামনে রেখে আমরা লড়ছি সেগুলোও আর সব জায়গার মতই বর্ধমানেরও ইস্যু। সেগুলো নিয়ে মানুষের কাছে যখন যাচ্ছি, খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। কেবল ভোটের অঙ্কের কথা নয়। লাল ঝান্ডা কাঁধে ভোট আমার কাছে মাইলস্টোন। শেখার সুযোগ, বাড়ি বাড়ি যাওয়ার একটা সুযোগ পার্টি আমাকে এনে দিয়েছে। সেই সুযোগটা সৎভাবে কাজে লাগাতে চাই। কিন্তু ভোট হয়ে যাওয়ার পরেও আমাকে লম্বা পথ হাঁটতে হবে। আমি নির্বাচনকে শেখার ধাপ বলে মনে করি। তাই খুব ভাল লাগছে যে বহু মানুষ এসে মন খুলে কথা বলছেন, কোন জড়তা নেই।
প্রতীক: একটা অভিযোগ বা প্রচার আছে যে লোকসভা নির্বাচনে বামেরা বিজেপিকে ভোট হস্তান্তর করেছিল। যদি প্রচারটা ভুলও হয়, এ কথা তো সত্যি যে বামেদের ভোট কমেছিল এবং বিজেপির ভোট বেড়েছিল। এবার কি সেই প্রবণতা বদলাবে?
পৃথা: এটা সত্যি যে কিছু মানুষ একসময় বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, তৃণমূলের যে চোর ডাকাত বদমাইশদের জন্য নাভিশ্বাস উঠছে সকলের, বিজেপি এসে তাদের শায়েস্তা করবে। আলাদা করা বামেদের দেগে দেওয়া উচিৎ নয়, অনেক মানুষই এমনটা মনে করেছিল। কিন্তু প্রথমত বিজেপির মনুবাদী এজেন্ডা, তাকে কায়দা করে মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া, দেশের সম্পদ এক এক করে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া, কৃষকদের উপর অকথ্য অত্যাচার… এতগুলো মানুষ দিল্লীর রাস্তায় বসে বসে মরে গেল অথচ প্রধানমন্ত্রী তাদের কাছে পাঁচ মিনিটের জন্য গিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না… এগুলো মানুষ দেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গেও তারা খেয়োখেয়ি, দলাদলির যে আবহ তৈরি করেছে সেটা মানুষের মনে প্রভাব ফেলছে। দ্বিতীয়ত, বিজেপি এখনো ঠিক করে প্রার্থী তালিকাই প্রকাশ উঠতে পারল না, কারণ বিজেপি মাছের ভেড়ির মত হয়ে গেছে। বাজারে মাংস কাটার পর যেমন উদ্বৃত্ত নাড়ি ভুঁড়ি মাছের খাবার হিসাবে ভেড়ির লোকেরা নিয়ে যায়, তেমনি যার যা অপচয়, সব বিজেপি নেবে বলে বসে আছে। দেখলে অবাক হবেন না, যদি মেদিনীপুরে কোন মিছিলে স্লোগান দেওয়া হয় “তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বাঁচতে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন”। এই পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হচ্ছে। কাঁদতে কাঁদতে সোনালি, রুপালি সবাই বিজেপিতে যাচ্ছেন। অতএব বিজেপি আর তৃণমূল যে একই মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ তা বুঝতে মানুষের আর অসুবিধা হচ্ছে না। এর পাশে আমরা আমাদের মতাদর্শ, কাজকর্ম নিয়ে দাঁড়াচ্ছি। সব মিলিয়ে আমাদের এবারের ফল নিশ্চয়ই ভাল হবে।
প্রতীক: বিজেপি সরকারের কথা যখন তুললেন তখন বলি, আপনাদের ইশতেহারে বলা হয়েছে সংযুক্ত মোর্চার সরকার হলে এ রাজ্যে এন আর সি, সি এ এ করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু একটা সমালোচনা হচ্ছে যে এই ইস্যু নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যতটা সোচ্চার হওয়া উচিৎ আপনারা তা হচ্ছেন না। কী বলবেন?
পৃথা: এটা সঠিক সমালোচনা নয়। আমি নিজেই তো প্রচারে এ নিয়ে যথেষ্ট কথা বলছি। অন্য প্রার্থীরাও বলছেন। এন আর সি একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষত যে অঞ্চলগুলোতে উদ্বাস্তুরা এসে বসত করেছেন সেখানে তো কথাই নেই। যাদবপুরে কাজ করতে গিয়ে আমি দেখেছি মানুষের মধ্যে কি সাংঘাতিক আতঙ্ক। যাঁরা সকালবেলায় ক্যানিং, গোসাবা ইত্যাদি এলাকা থেকে পরিচারিকার কাজ করতে আসেন বা দিনমজুরি করতে আসেন, তাঁরা ভয়ের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ‘এই কার্ড নেই, সেই কার্ড নেই’ আতঙ্কে। সেই কারণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এন আর সি – সি এ এ নিয়ে আমরা প্রচার করেছি। এখনো ভোটের প্রচারে সেই প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি আমরা এ-ও দেখলাম যে মোদীর এত বিরোধী দিদি, তাঁর দলের সাংসদ, যাদবপুরের মত উদ্বাস্তু আন্দোলনের ইতিহাস থাকা এলাকার সাংসদ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভোট দিতে উপস্থিত থাকলেন না সংসদে।
প্রতীক: বিশেষ করে আপনি মহিলা বলে একটা প্রশ্ন অবশ্যই করা দরকার। বামেদের সাথে আই এস এফ-এর জোট অনেকের পছন্দ হয়নি। আপনাদের অনেক সমর্থকেরও ব্যাপারটা ভাল লাগেনি, কারণ অনেকের মতে আই এস এফ সাম্প্রদায়িক দল। আরেকটা বড় কারণ আব্বাস সিদ্দিকির বেশ কিছু নারীবিদ্বেষী মন্তব্য, যার ভিডিও সুলভ। বিশেষত নুসরত জাহানের পেশা এবং অন্য ধর্মের লোককে বিয়ে করা নিয়ে আব্বাস যা বলেছেন। এ ব্যাপারে আপনার মত কী?
পৃথা: দেখুন, যে দলগুলো মিলে সংযুক্ত মোর্চা তৈরি করেছে তারা যদি সব ব্যাপারে একমত হত, তাহলে তো একটাই দল হত। অনেক বিষয়ে আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য তো আছেই। এই মুহূর্তে ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করার যে খেলা এ দেশে বিজেপি – আর এস এস চালু করেছে, তার বিরুদ্ধে যে আছে তাকেই আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সে কংগ্রেসই হোক আর আই এস এফ-ই হোক। আব্বাসের ঐ মন্তব্যগুলো একদমই অনুচিত, কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে উনি ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উনি দলিতদের অধিকারের কথা বলেছেন; জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অধিকারের সপক্ষে বলেছেন। আই এস এফ যে সংগঠনগুলোকে নিয়ে তৈরি হয়েছে, তাদের দিকেও যদি তাকান, দেখবেন তারাও সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষের অধিকারের কথা বলছে। আমি যে পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছি তার মধ্যে থেকে বামপন্থী রাজনীতিতে আসা স্বাভাবিক, কিন্তু যে একেবারে অন্য আবহে অন্যরকম ভাবনা চিন্তায় বেড়ে উঠেছে, তাকে আমি আমার রাজনীতি দিয়ে প্রভাবিত করতে পারছি। সে-ও আমার মতাদর্শের সবটা না মানলেও দু-চারটে কথা বলছে। আমার মনে হয় এটা বড় সাফল্য। আগের সব কথাবার্তা সত্ত্বেও আব্বাস এখন যে রাজনীতির কথা বলছেন, ব্রিগেডে যার কিছুটা দেখা গেছে, তা আশাব্যঞ্জক। সাধুবাদ না দিয়ে পারা যায় না। ভারতের সংবিধান রক্ষা করার লড়াইয়ে আমাদের সকলকে প্রয়োজন, তাই সবাইকে নিয়েই লড়ছি।
ছবি ঋণ : ফেসবুক । পৃথার অঙ্কনচিত্রের শিল্পী তৌসিফ হক। শিল্পীর অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।
https://nagorik.net/ এ প্রকাশিত। ছবি ঋণ cpimwb.org.in