বেলা ফুরোতে আর বসে রইলেন না শেন ওয়ার্ন

ওয়ার্ন

আইপিএল আজকের তরুণ ক্রিকেট দর্শকদের কাছে জলভাত। কিন্তু আমাদের মত যারা পরিণত বয়সে আইপিএল শুরু হতে দেখেছে ২০০৮ সালে, তাদের বড় বিস্ময় লেগেছিল। আমার সেই বিস্ময় বেড়ে গিয়েছিল শেন ওয়ার্ন সম্পর্কে একটা কথা শুনে।

সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ওয়ার্ন সেবার আইপিএলের সবচেয়ে শস্তা দল জয়পুরের রাজস্থান রয়্যালসের একাধারে অধিনায়ক ও কোচ। নিলামের পর দলগুলোর যা চেহারা হয়েছিল, তাতে অনেকেরই ধারণা ছিল হইহই করে চ্যাম্পিয়ন হবে হায়দরাবাদের তারকাখচিত ডেকান চার্জার্স। আর জয়পুরের দলটার জায়গা হবে শেষের দিকে। ডেকান চার্জার্সের মালিক হায়দরাবাদের মহা বিত্তবান রেড্ডিরা। তাঁরা আবার ওই শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইংরেজি কাগজ ডেকান ক্রনিকলেরও মালিক। সেই কাগজের প্রতিনিধি হিসাবে মুম্বাইতে একটা আইপিএল ম্যাচ কভার করতে গিয়ে এক সর্বভারতীয় কাগজের সাংবাদিকের সাথে আলাপ হল। তার মুখেই শুনলাম রাজস্থান রয়্যালসের প্রায় অখ্যাত স্বপ্নিল অসনোদকর, রবীন্দ্র জাদেজা, ইউসুফ পাঠানদের সাথে ওয়ার্নের দারুণ ঘনিষ্ঠতা। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের এইসব চারাগাছের জন্য নাকি ওয়ার্ন বটবৃক্ষ হয়ে উঠেছেন। আমি এবং আমার কাগজের অগ্রজ সাংবাদিক কথাটা প্রথমে বিশ্বাস করিনি। কারণ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের উন্নাসিকতা জগদ্বিখ্যাত। শোনা যায় কেউ কেউ প্রবল বর্ণবিদ্বেষীও। যেহেতু ডেকান চার্জার্সে সেবার চাঁদের হাট, আমরা নিজেরাও দেখেছি, টিম ফ্লাইটে ভারতীয় ক্রিকেটাররা একসঙ্গে বসেন। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, হার্শেল গিবসরা নিজেদের মধ্যেই আড্ডা মারেন। আর ওয়ার্নের মত মহাতারকা অসনোদকরদের পাত্তা দেবেন, এ-ও কি সম্ভব? কিন্তু সেই সাংবাদিক বন্ধুর বিস্তারিত বিবরণ শুনে অবিশ্বাস করার উপায় রইল না।

সে বলল, প্রথম দিকে দলের ভারতীয় ক্রিকেটাররা ওয়ার্নের সাথে কথা বলতেই ভয় পেত। একে তিনি অত বড় ক্রিকেটার, তার উপর ইউসুফরা ইংরেজি বলায় একেবারেই সড়গড় নন। সাপোর্ট স্টাফের কারোর থেকে এই সমস্যার কথা জানতে পেরে ওয়ার্ন সকলকে বলেন, যে ভাষায় তোমরা স্বচ্ছন্দ সেই ভাষাতেই আমার সাথে কথা বলবে। আমি তোমাদের দেশে কাজ করতে এসেছি, আমার দায়িত্ব বুঝে নেওয়া।

শেন ওয়ার্ন বড় ক্রিকেটার বরাবরই মানতাম, কারণ গণ্ডমূর্খ না হলে মানতে সবাই বাধ্য। তাঁর প্রতি যে বিরূপতা ছিল, তা বিদায় নিল সেইদিন।

কেন ছিল বিরূপতা?

আসলে আমাদের কৈশোর ও প্রথম যৌবন কেটেছে ওয়ার্নের বোলিং দেখতে দেখতে। বলা ভাল, শচীন বনাম ওয়ার্ন দ্বৈরথ দেখতে দেখতে। আমাদের খেলা দেখতে শেখায় দল নির্বিশেষে নৈপুণ্যকে কুর্নিশ জানানোর পাঠ খুব বেশি ছিল না। আজকের কদর্য পার্টিজানশিপের সূচনা সে আমলেই হয়েছিল। আসলে আমাদের জন্যে কোনো মতি নন্দী লিখতেন না, প্রাঞ্জল বিশ্লেষণে বাঙালি পাঠককে বুঝিয়ে দিতেন না শচীন, সিধুরা অনায়াস দক্ষতায় তাঁকে মাঠের বাইরে পাঠালেও ওয়ার্ন একজন ক্ষণজন্মা শিল্পী। আমাদের সময়ে ইডেন উদ্যান থেকে রেডিওতে ভেসে আসত না ক্রিকেটরসিক অজয় বসুর কণ্ঠ। আমাদের টিভির ইডেন তখন কাগজের ভাষাতেও গার্ডেন্স হয়ে গেছে। ক্রিকেটের রোম্যান্স অনুভব করতে আমরা শিখলাম কই? ওয়ার্নের বলে শচীনের তিনরকম সুইপ, ক্রিজ ছেড়ে কোণাকুণি বেরিয়ে এসে ওয়াইড লং অন দিয়ে ছয় মারায় আমরা হাততালি দিয়েছি মূলত ভারতীয় ব্যাটার অস্ট্রেলিয় বোলারের বলে চার আর ছয় মেরেছে বলে। আমাদের মধ্যে যারা ইংরেজিতে দড় ছিল না, তারা পিটার রোবাকও পড়তে পারেনি। ওয়ার্ন কত বড় শিল্পী তা বোঝা দূরে থাক, শচীন কত বড় শিল্পী তা-ও তারা তখন বড় একটা বুঝতে পারেনি। তাছাড়া আমাদের সময়টা সুনীল গাভাসকর, গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথদের যুগ নয়। বিপক্ষ দলের প্রিয় ক্রিকেটারের নামে বিশ্বসেরা ব্যাটার নিজের ছেলের নাম দেবেন, সে সংস্কৃতি তখন ক্রমশ লুপ্ত হচ্ছে; আগ্রাসন শব্দটা চালু হয়ে গেছে। কখন ব্যাটার একটা মনোরম লেট কাট মারবে বা স্পিনারের একটা বল ব্যাটারকে হাস্যকরভাবে পরাস্ত করবে, আর উইকেট পড়ুক না পড়ুক ওই বলটাই মনে রেখে দেবে দর্শক — সেসব দিন তখন চলে গেছে। আমরা দীর্ঘকাল খেলায় জয়, পরাজয়ের পরেও যে কিছু থাকে তা অনুভব করিনি। অস্ট্রেলিয়া যখন ১৯৯৭-৯৮ মরসুমে ভারত সফরে এল, ওয়ার্ন নিজের খাবার হিসাবে সেদ্ধ বিনের টিন নিয়ে এসেছেন দেশ থেকে — এই খবর পড়ে আমরা যারপরনাই উত্তেজিত হয়েছি। আমাদের উত্তেজিত করা হয়েছে। কাগজে লেখা হয়েছে এটা ভারতের অপমান, শচীন আমাদের সবার হয়ে এর প্রতিশোধ নেবেন। তাই সে মরসুমে যেখানে অস্ট্রেলিয়াকে পেয়েছেন, ক্ষমতার শীর্ষে থাকা শচীন সেখানেই ওয়ার্নসুদ্ধু অজিদের একেবারে দুরমুশ করে দেওয়ায় আমরা কিছুটা অতিরিক্ত আনন্দ পেয়েছি।

কিন্তু আমাদের একটা জিনিস ছিল যা পূর্বসুরীরা পাননি। সেটা হল কেবল টিভি। তাই আমরা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাতে ওয়ার্নের নাকানি চোবানি খাওয়া (১৪ টেস্টে ৪৩ উইকেট; গড় ৪৭.১৮, ৫ উইকেট মাত্র একবার) যেমন দেখেছি, তেমনি পৃথিবীর যে কোনো মাঠে, যে কোনো ধরনের পিচে অন্য দেশগুলোর মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া দেখার সৌভাগ্যও হয়েছে। ১৯৯২ সালে সিডনিতে ভারতের বিরুদ্ধে যখন ওয়ার্নের অভিষেক হল, তখনো আমাদের এখানে ঘরে ঘরে কেবল টিভি ছিল না। সোনালি চুলের একটা ২২ বছরের ছেলেকে বেধড়ক মারছেন রবি শাস্ত্রী আর শচীন — এই দৃশ্য আমরা কেবল রাতের খাবার খেতে খেতে দূরদর্শনের হাইলাইটসে দেখেছি। পরের বছর মাইক গ্যাটিংকে বোকা বানানো ‘শতাব্দীর সেরা বল’-ও লাইভ দেখেছিল খুব অল্পসংখ্যক ভারতীয়।

কিন্তু পুরনো সুরার মত স্বাদু, অবসরের দিকে এগিয়ে চলা ওয়ার্নের ২০০৫ সালে এজবাস্টনে অ্যান্ড্রু স্ট্রসকে জোকারে পরিণত করা বলটা আমরা অনেকেই লাইভ দেখেছি।

ভাগ্যিস দেখেছি! উসেন বোল্টের দৌড়, মাইকেল ফেল্পসের সাঁতার, রজার ফেডেরারের টেনিস দেখার মত যে কটা জিনিস যখন ঘটেছে তখনই দেখেছি বলে আমাদের মধ্যে যারা আশি-নব্বই বছর বাঁচবে তারা শেষ বয়সে গর্ব করতে পারবে, তার একটা হল ওয়ার্নের বোলিং।

তাঁর কিন্তু আব্দুল কাদিরের মত রহস্যময় গুগলি ছিল না। কিন্তু যে বলের পর বল একই জায়গায় ফেলতে পারে এবং একই জায়গা থেকে লেগ ব্রেক কখনো বেশি, কখনো কম ঘোরাতে পারে — তার গুগলিটা তেমন জোরদার না হলেই বা কী? কেবল বল ঘোরানোর পরিমাণের হেরফের করে যে ওয়ার্ন একটা দলের গোটা ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে পারতেন, তা সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড। কখনো অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল নিশ্চিন্তে প্যাডে নিতে গিয়ে পায়ের পিছন দিয়ে বোল্ড হয়েছেন স্ট্রস, তো কখনো বল বেশি ঘুরবে ভেবে ব্যাট বাড়িয়ে দিয়ে মাটিতে পড়ে দ্রুত গতিতে সোজা চলে আসা ফ্লিপারে এল বি ডব্লিউ হয়েছেন ইয়ান বেল। ভারত ছাড়া অন্য দলের বিরুদ্ধে ওয়ার্ন ডানহাতি ব্যাটারকে ওভার দ্য উইকেট বল করলেই তাঁকে মনে হত সাক্ষাৎ নিয়তি। যখন ইচ্ছা একটা বল ভাসিয়ে দেবেন লেগ স্লিপের দিকে, অত দূরে যাচ্ছে দেখে ব্যাটার নিশ্চিন্তে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাববেন অথবা চার মারার মোক্ষম সুযোগ ভেবে সুইপ করতে যাবেন। আর অমনি বলটা মাটিতে পড়ে বিদ্যুৎ গতিতে উল্টো দিকে ঘুরে স্টাম্প ভেঙে দেবে। এভাবে বোকা বনেছেন মাইকেল আর্থারটনের মত দুঁদে ব্যাটারও। ভারতীয়দের মধ্যে সম্ভবত একমাত্র এমএসকে প্রসাদকেই এরকম অপ্রস্তুতে পড়তে হয়েছিল।

আবার রাউন্ড দ্য উইকেট বল করা ওয়ার্নের বিরুদ্ধে অতি সাবধানী হতে গিয়ে হাসির পাত্র হয়ে পড়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রেগ ম্যাকমিলান।

আমাদের কেবল টিভি ছিল, এখন ইউটিউবও আছে। যতবার খুশি এইসব মুহূর্ত দেখা যায়। অনেকে যেমন বড়ে গুলাম আলি খাঁ সাহেবের গান বারবার শোনে; ফিরে ফিরে দেখে সত্যজিৎ, ঋত্বিক, মৃণাল বা কুরোসাওয়ার ছবি।

কিন্তু ওয়ার্ন আবার ওতেও শেষ হন না। বাউন্ডারির বাইরেও তিনি একজন বেহিসাবী শিল্পী। জীবন ভোগ করবার, নিজেকে অপচয় করবার বিপুল ক্ষুধা তাঁর। এ ব্যাপারে ওয়ার্নের তুলনা চলতে পারে একমাত্র দিয়েগো মারাদোনার সাথে। ওয়ার্ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যত উইকেট নিয়েছেন, ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোকে মুখরোচক খবর আর ছবি জুগিয়েছেন বোধহয় তার চেয়েও বেশি। কখনো একাধিক যৌনকর্মীর সাথে যৌন অ্যাডভেঞ্চার, কখনো এলিজাবেথ হার্লির সাথে প্রেম। কখনো বুকিকে দিয়ে দেন পিচ সম্পর্কে তথ্য, কখনো নিষিদ্ধ ডাইইউরেটিক নিয়ে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হারান। তিনি উপস্থিত থাকলে পাদপ্রদীপের আলো তাঁকে ছেড়ে থাকতে পারত না। আবার সেই আলোয় এক ঝাঁক অর্বাচীনকে আলোকিত করে তারকাখচিত আইপিএল জিতে নিয়েছিলেন ওয়ার্ন। মতি নন্দীর হয়ত সে ঘটনা দেখলে মনে পড়ত বুড়ো আর্চি ম্যাকলারেনের এক দল অপেশাদারকে নিয়ে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের সর্বগ্রাসী দলকে হারিয়ে দেওয়ার কথা। মহাকাব্য তো নয়ই, এ যুগ এমনকি খণ্ডকাব্যের যুগও থাকছে না। এখন ফেসবুক কবিতার যুগ, তাই টি টোয়েন্টিতেই কাব্যিকতা খুঁজতে হয় আমাদের। এ যুগে ওয়ার্ন বেমানান। তাঁর ধারাভাষ্য তাই অনেকেরই মনঃপূত হয়নি, রিচি বেনোর মত যত বড় ক্রিকেটার তত বড় ধারাভাষ্যকার হয়ে উঠতে যে ওয়ার্ন পারবেন না তা বেশ বোঝা যাচ্ছিল। তবে তাতে শিল্পী ওয়ার্নের দাম কমে না।

লেগস্পিন এমনিতেই বড় কঠিন শিল্প। বলা হয়, জন্মগত প্রতিভা না থাকলে ও জিনিসটা হয় না। ওয়ার্নের প্রজন্মে অত্যাশ্চর্যভাবে বিশ্ব ক্রিকেটে ছিলেন তিনজন সর্বোচ্চ মানের স্পিনার — ভারতের অনিল কুম্বলে, পাকিস্তানের মুস্তাক আহমেদ আর অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ন। এঁদের অবসরের পরে পাকিস্তানের ইয়াসির শাহ ছাড়া আর তেমন লেগস্পিনার উঠে আসেননি। আসলে চটজলদি ক্রিকেটের রমরমার যুগে ওয়ার্নের মত বিপুল প্রতিভা না থাকলে লেগস্পিন করে টিকে থাকাই মুশকিল। এখন ফ্লাইট দিলে, লেগ ব্রেকের পর লেগ ব্রেক করে গেলে ছোট্ট মাঠে ব্যাটারের কাজ সহজ হয়ে যাবে। ওয়ার্ন পারতেন ওসব করেও একদিনের ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করতে, বিশ্বকাপে (১৯৯৯) সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে। টি টোয়েন্টিতেও ৭৩ ম্যাচে ওভার পিছু আটের কম রান দিয়ে সত্তরটা উইকেট নিয়েছিলেন। অ্যাডাম জাম্পা, আদিল রশিদরা পারবেন না। আর টি টোয়েন্টিতে ভাল করতে না পারলে আজকাল টেস্ট খেলার সুযোগও পাওয়া শক্ত। এখন বন্যেরা বনে সুন্দর, লেগস্পিন ইউটিউবে। ওয়ার্নকে আর ক্রিকেটের দরকার ছিল না বোধহয়।

বেলা ফুরোতেই তিনি চলে গেলেন। অন্য অনেক ব্যাপারে ওয়ার্ন একেবারেই অস্ট্রেলিয়সুলভ ছিলেন না, কিন্তু ঠিক সময়ে চলে যাওয়ার ব্যাপারে খাঁটি অস্ট্রেলিয়। তাঁর শেষ টেস্ট সিরিজ ছিল ২০০৬-০৭ অ্যাশেজ। আর্মস্ট্রংয়ের সেই দলের পর অস্ট্রেলিয়া প্রথমবার ৫-০ অ্যাশেজ জিতল। সেটা সম্ভব হত না অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিন সকালে ওয়ার্ন ইংল্যান্ডের কোমর ভেঙে না দিলে।

নাগরিক ডট নেট-এ প্রকাশিত

Author: Pratik

সাংবাদিক, লেখক। কাজ করেছেন দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ডেকান ক্রনিকল, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য স্টেটসম্যান এবং অধুনালুপ্ত দ্য বেঙ্গল পোস্টে। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও কাগজে লেখালিখি করেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন।

One thought on “বেলা ফুরোতে আর বসে রইলেন না শেন ওয়ার্ন”

Leave a Reply

%d bloggers like this: