‘ন্যাশনাল আর্কাইভের অবলুপ্তি দেশটাকে শপিং মল বানানোর চক্রান্ত’

ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়াতে এমন বহু ছবি আছে যা আর কোত্থাও পাওয়া যায় না। সেগুলো কিন্তু বিনোদনের জন্য নয়, ইতিহাস বলেই রেখে দেওয়া হয়েছে।

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। ছবি ইন্টারনেট থেকে

ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে আগামী মাসেই ফিল্মস ডিভিশনের সমস্ত শাখা, ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়া এবং চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়াকে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সাথে জুড়ে দেওয়া হবে। নাসিরুদ্দিন শাহ, নন্দিতা দাস সহ প্রায় ৯০০ শিল্পী ও কলাকুশলী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। কেন এই সিদ্ধান্ত, কেনই বা প্রত্যাহারের দাবি? নাগরিক ডট নেটকে বিশদে বললেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

কেন্দ্রীয় সরকার ফিল্মস ডিভিশন, ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়া এবং চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়াকে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সাথে মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রায় ৯০০ জন শিল্পী, কলাকুশলী এর প্রতিবাদ করেছেন। এই সংস্থাগুলোকে মিলিয়ে দেওয়ার তাৎপর্য যদি একটু বুঝিয়ে বলেন। মানে সিনেমা জগতের লোকেরা কেন এর প্রতিবাদ করছেন?

প্রতিবাদ করার কারণ হল এটা শুধু নির্বুদ্ধিতা নয়, এটা রীতিমত চক্রান্ত — গোটা দেশটাকেই শপিং মল বানাবার চক্রান্ত। দেশে অ্যাকাডেমিক চর্চা বা মননে সরকার আর গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। সরকার মানে এখন বড়বাজার। ফিল্মস ডিভিশন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যে সমস্ত ছবি বানিয়েছিল — পল জিলস, হরিসাধন দাশগুপ্তরা বানিয়েছিলেন — সেগুলো আমাদের ইতিহাসের অনেকখানি জুড়ে আছে। এক অর্থে বলা যায় আমাদের ইতিহাস অনেকটাই ফিল্মস ডিভিশনের ইতিহাস। তথ্যচিত্র বাণিজ্যলক্ষ্মীর প্রসাদ পায় না, ফলে তার সরকারি সাহায্য লাগবেই। এই কথাটা ইংরেজরা বুঝত তাদের দেশের ওয়ার টাইম ডকুমেন্টারি ফিল্ম ইত্যাদির কারণে। স্বাধীনতার পরে ভারত সরকারও বুঝতে পেরেছিল। ফলে অনেক অমূল্য রত্ন তৈরি হয়েছিল, যা আমাদের ইতিহাসকে চেনাতে সাহায্য করেছে। কিন্তু আজকের শাসক ইতিহাসে বিশ্বাস করে না, প্রমোদে বিশ্বাস করে। এমন প্রমোদ যা সহজলভ্য এবং সহজপাচ্য। তাই তার ফিল্মস ডিভিশনের দরকারও নেই। সত্যজিৎ রায়ের শতবর্ষে এই আলোচনা করতে গিয়ে ভেবে দুঃখ হয়, এই ফিল্মস ডিভিশনের হয়েই সত্যজিৎ দি ইনার আই তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন।

ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

ওটা তো প্রকৃতপক্ষে জাতির ইতিহাস সংরক্ষণের জায়গা। এরপর তো শুনব কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম তুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ অনেকটা জমি আছে, সেখানে একটা বিরাট দোকান করা যেতে পারে। একইভাবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালও তুলে দেওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে সেই হীরালাল সেনের সময় থেকে শত শত ছবি হয়েছে। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৯৩১ সাল পর্যন্ত হওয়া ছবিগুলো প্রায় খুঁজেই পাওয়া যায় না। অতি কষ্টে ফিল্ম আর্কাইভে পি কে নায়ার সাহেব থাকায় দাদাসাহেব ফালকের ছবি উদ্ধার করা গিয়েছিল। এখন বিল্বমঙ্গল, দেবদাস — এইসব ছবিও পাওয়া যাচ্ছে। এই ছবিগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব যে বোঝে না তাকে তো বোঝানো সম্ভব নয়। সারা বিশ্বে সিনেমাকে বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় দলিল বলে মনে করা হয়। তাকে সমাজতাত্ত্বিক, দার্শনিক, সাহিত্যিক — সকলেই গুরুত্ব দেন। তাই পৃথিবীর সমস্ত দেশে ফিল্ম আর্কাইভ আছে।

আর এখানে বলা হচ্ছে ফিল্মস ডিভিশন, ফিল্ম আর্কাইভে কর্মী ছাঁটাই করে সব এক ছাতার তলায় আনা হবে। যেন হকার্স কর্নার। আসলে এরপর আস্তে আস্তে ওগুলোর বেসরকারিকরণ করা হবে। সেটা করলে যা হবে, তা হচ্ছে দেশে একমাত্র বলিউডি ছবিই থাকবে। আঞ্চলিক ফিল্ম বা অন্যরকম ফিল্মের অস্তিত্ব মুছে যাবে। এ এক প্রবল দুর্যোগ। কর্মী সংকোচন হওয়ার ফলে বহু মানুষ যে কর্মহীন হয়ে পড়বেন সেটা তো দুর্যোগ বটেই, সঙ্গে এটাও বুঝতে হবে যে দেশের ইতিহাসের উপর এত বড় আঘাত প্রায় নিঃশব্দে নেমে এসেছে।

পুনের ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়াতে এমন বহু ছবি আছে যা আর কোত্থাও পাওয়া যায় না। সেগুলো কিন্তু বিনোদনের জন্য নয়, ইতিহাস বলেই রেখে দেওয়া হয়েছে। এসব জিনিস তো বেসরকারি হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না। বেসরকারি সংস্থা তো যা কিছু বাণিজ্যের প্রয়োজনে লাগে না, সেসব বাঁচিয়ে রাখবে না। সে তো বারীন সাহা, ঋত্বিক ঘটকের ছবি নিয়ে চিন্তা করবে না। এমনকি সত্যজিতের ছবি নিয়েও ভাববে না। সে কেবল কিছু তারকাখচিত ছবির যত্ন নেবে। তা-ও পুরনো হয়ে গেলে ফেলে দেবে, বড়জোর ডিজিটাল ফরম্যাটে দেখাবে। সেলুলয়েডে তোলা মূল ছবিগুলো আর পাওয়াই যাবে না।

আমাদের দেশে তো এগুলো তৈরি করা হয়েছিল রাষ্ট্রের সুস্থ সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত — এই ধারণা থেকে। তার পাশে আজকের এই সিদ্ধান্তগুলোকে কীভাবে দেখছেন?

এগুলো করা হয়েছিল অনেকটা সোভিয়েত মডেলে। যেমন ১৯১৯ সালে লেনিনের প্রত্যক্ষ উৎসাহে সোভিয়েত রাশিয়ায় পৃথিবীর প্রথম ফিল্ম শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমাদের দেশে শুধু ফিল্মস ডিভিশন বা ফিল্ম আর্কাইভ নয়, ললিতকলা অ্যাকাডেমি বা সাহিত্য অ্যাকাডেমি তৈরি করার পিছনেও ছিল একই ভাবনা, যে এগুলোর সরকারি সাহায্য দরকার। ব্যবসায়ীরা এতে উৎসাহ দেবে না। কারণ, শাড়ির ব্যবসাকে ছোট না করেই বলছি, শাড়ির ব্যবসা আর রামকিঙ্কর বেইজের স্থাপত্য এক নয়। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় রামকিঙ্করকে ডেকে যক্ষ আর যক্ষিণীর মূর্তি তৈরি করানোর ভাবনা সরকারের মাথাতেই আসতে পারে, কোনো বেসরকারি সংস্থার নয়। ভারতের প্রথম সরকারের এক ধরনের সমাজতান্ত্রিক ধারণা এবং রুচিবোধ ছিল বলেই ওসব হতে পেরেছিল। আজ সবকিছুই ন্যক্কারজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং যদি দেখি দেশটা ভাস্কর্যবিহীন কিছু পুতুলের দেশে পরিণত হয়েছে, তাহলে অবাক হব না। যা কিছু প্রাচীন তা-ই তো নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। সংসদ ভবনটাকে বাতিল করে নতুন সংসদ ভবন হচ্ছে। কারণ একটা আলো ঝলমলে, চকচকে কিছু না করলে চলবে না। নবরূপায়ণ বলে একটা শব্দ তৈরি করা হয়েছে। হয়ত রামায়ণ, মহাভারতেরও নবরূপায়ণ করা হবে। ভাগ্যিস হরপ্পা, মহেঞ্জোদরো ভারতে নেই! থাকলে জালিয়ানওয়ালাবাগের মত তারও নবরূপায়ণ হত বোধহয়।

কিন্তু সিনেমা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিঘ্নিতও হতে পারে?

নিশ্চয়ই পারে, কারণ সরকার শেষপর্যন্ত একটা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু যে কথা বারবার বলা দরকার, তা হল সরকার যে ধরনের কাজকে মদত দিয়েছে সেগুলো অন্য কোনোভাবে পুষ্ট হতে পারত না। ভারত সরকার কিন্তু সিনেমার জাতীয়করণ করেনি। সিনেমা শিল্প নিজের মতই চলেছে। উত্তম-সুচিত্রা, দিলীপকুমার-মধুবালার ছবিও তৈরি হয়েছে আবার সত্যজিৎ রায়দের ছবিও হয়েছে। কিন্তু ধরো, সরকার না থাকলে তথ্যচিত্রের দায়িত্ব কে নিত? তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে অনেক পরিচালক একটা বিশেষ ধরনের ছবি করার সুযোগও পেয়েছেন সরকারের জন্যেই। যেমন ধরো, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানাবেন সত্যজিৎ — এ তো ভারতীয় বণিকদের কল্পনাতেও আসত না। এ দেশে কোনোদিন শিল্পবিপ্লব হয়নি, ফলে এ দেশের শিল্পপতিদের সেই রুচিবোধও নেই। একমাত্র টাটারাই শিল্প, সাহিত্যের ব্যাপারে কিছুটা উৎসাহ দেখিয়েছেন। কিন্তু তাঁরাও এত বড় নিয়োগকর্তা নন যে এত গভীরে মাথা ঘামাবেন। তাঁদের অগ্রাধিকার নিশ্চয়ই বাণিজ্য; হওয়াও উচিত তাই। কিন্তু সরকার যেহেতু জনগণের করের টাকায় চলে, সেহেতু সরকার পারে এমন শিল্পীকে সুযোগ দিতে, যার শিল্পের তেমন বাজার নেই। ধরা যাক একটা স্টিল প্ল্যান্ট বানালে সরকারের যা আর্থিক লাভ হবে, রবীন্দ্রনাথের কবিতার বইয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করলে তা হবে না। কিন্তু একটা দেশের তো রবীন্দ্রনাথের বই দরকার। তার পিছনে খরচ করা সরকারের কল্যাণমূলক কাজের মধ্যেই পড়ে।

ব্যাপারটা বোঝার জন্যে শিক্ষার দিকে তাকালেই হয়। শিক্ষার বেসরকারিকরণ করলে যা হয়, তা হচ্ছে যেসব বিষয় ব্যবসা বাণিজ্যে কাজে লাগে না সেগুলোকে পাঠ্যের বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়। হয়ত সিদ্ধান্ত হবে ব্যাঙ্কের হিসাবপত্রে যেটুকু অঙ্ক লাগে, তার বেশি পড়ানোর দরকার নেই। তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা পড়ানোর দরকার নেই, কারণ ও দিয়ে ব্যবসার কোনো সুবিধা হবে না।

সুতরাং সরকার কোন ক্ষেত্রে বদান্যতা দেখাবে, কোথায় দেখাবে না — তা বিবেচনার বিষয়, কিন্তু বাতিল করে দেওয়ার বিষয় নয়। সরকারি নিয়ন্ত্রণ যাতে মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে যায়, সে কথা ভেবেই তো সাহিত্য অ্যাকাডেমিকে পুরোপুরি সরকারি সংস্থা না করে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আধা-সরকারি সংস্থা হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছিল। সাহিত্য অ্যাকাডেমি ছিল বলে কিন্তু ভারতের আঞ্চলিক ভাষাগুলো পুষ্ট হয়েছে। যেমন অ্যাকাডেমির প্রথম সভাপতি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই রাজস্থানি ভাষা যে হিন্দি নয়, আলাদা ভাষা, তা নির্ণীত হয়েছিল এবং সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছিল। মানে ফিল্মস ডিভিশন বা সাহিত্য অ্যাকাডেমি জাতীয় সংহতির জন্যেও জরুরি। মুখে জাতীয় সংহতির কথা বলব আর কাজে দেশের একটা অঞ্চলের একটা ভাষা, একটা সংস্কৃতিকেই জায়গা দেব — এ হতে পারে না।

সম্প্রতি সিনেমার সেটে উগ্র মতাবলম্বী লোকেদের আক্রমণ, ওয়েব সিরিজের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কেস ফাইল হওয়া — এগুলোকে কি সরকারের এই সিদ্ধান্তগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা উচিত, নাকি এগুলোকে নিছকই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে দেখব?

একেবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বলা যেতে পারে সরকার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে এক দিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো তুলে দিচ্ছে, অন্য দিকে সামাজিক চাপ তৈরি করার জন্যে অন্য একদল লোককে দিয়ে সিনেমার লোকেদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আসলে সব সরকার এবং সরকারি দলই চায় নিরঙ্কুশ মতপ্রকাশের অধিকার কেবল তাদেরই থাকুক, আর কারোর যেন না থাকে। এইভাবেই গণতন্ত্রের গাছটিকে একেবারে উপড়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। সে চেষ্টা সফল হবে কিনা ইতিহাস বলবে, তবে নরকের দিকে এরকম ধীর, নিশ্চিত পদক্ষেপ আগে কখনো দেখা যায়নি।

এক দিকে সরকার সিনেমাকে যেটুকু সাহায্য করত সেটুকুও আর করতে চাইছে না, অন্য দিকে ফিল্ম সার্টিফিকেশনের আইনে বদল আনতে চাইছে। এই অবস্থায় ভারতীয় সিনেমার ভবিষ্যৎ কেমন বুঝছেন?

মনে রাখা ভাল, এ দেশে সরকার কিন্তু সিনেমার ভাগ্যনিয়ন্তা ছিল না কোনোদিন। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কোনো রাজ্য সরকার কিছু ছবির পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকার পথের পাঁচালী প্রযোজনা করেছিল। ঋত্বিকও এই সুযোগ পেয়েছেন; পরবর্তীকালে গৌতম ঘোষ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত পেয়েছেন। সেটা উচিত কি অনুচিত তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু সিনেমা শিল্প নিজের মত করেই চলেছে, সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে নয়। তা সত্ত্বেও যে বর্তমান সরকার এই সমস্ত কাজ করছে তা থেকে এটাই প্রমাণ হয়, যে সরকার ফিল্মস ডিভিশন, আর্কাইভ, চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি — এসব তুলেই দিতে চায়। ভারতে শুধুমাত্র নাচগান, আজগুবি গল্পওলা সিনেমাই চলবে। আর কখনো ইতিহাস ধরে রাখার চেষ্টা করে হবে না।

সার্টিফিকেশনের আইন বদল করতে চাওয়ার অর্থ হল ইংরেজরা যাকে “no humiliation to Christ” নীতি বলত, সেই নীতি অবলম্বন করা হবে। সরকার যে ছবিকে ধর্মীয় রীতিনীতির উপযুক্ত মনে করে, সে ছবিই শুধু থাকবে, বাকি সব নিষিদ্ধ হবে। এ এক শ্বাসরোধকারী অবস্থা। দুঃখের বিষয়, পশ্চিমবাংলার শিল্পীরা যে এ নিয়ে চিন্তিত এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। পশ্চিমবাংলার মিডিয়াতেও এ নিয়ে তেমন চর্চা নেই। বাঙালির এইসব ব্যাপারে এমন নিষ্ক্রিয়তা কবে দেখেছি মনে করতে পারছি না।

https://nagorik.net এ প্রকাশিত