অবসাদের গল্প: বিপন্ন বিস্ময়ের গল্পকার গৌতম

গল্পের দিন ফুরিয়েছে। পৃথিবীতে যত গল্প ছিল সবই বলা হয়ে গেছে, নতুন কিছু বলার নেই। কেবল নতুনভাবে বলা সম্ভব।

এই কথাগুলো ইদানীং খুব শোনা যায়। সোশাল মিডিয়ায় প্রবল জনপ্রিয় বক্তা থেকে শুরু করে সাহিত্যের বাজারের বিরুদ্ধে ঝান্ডা উঁচিয়ে বসে থাকা প্রতিষ্ঠানবিরোধী সাহিত্যিক পর্যন্ত অনেকেই বলে থাকেন। এই মতের লোকেরা এমনভাবে কথাগুলো বলেন যেন ভারি নতুন কিছু বলা হচ্ছে, অথচ এদেশে কয়েক হাজার বছর ধরে নেহাত নিরক্ষর মানুষও বলে আসছেন “যা নাই ভারতে তা নাই ভারতে”। সব গল্পই আসলে নানা চেহারায় মহাভারতে আছে। তা বলে তো মানুষের গল্পের খিদে কমে যাচ্ছে না। বই এবং ই-বুক তো বটেই, অডিও বুকের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাও সে কথাই প্রমাণ করে। জনপ্রিয়তায় অবশ্য অনেক সাহিত্যিকের আপত্তি আছে, কারণ ওটা বাজার নির্ধারিত। কিন্তু বাংলার বাজারবিরোধী লেখকদের কাছে যিনি দেবপ্রতিম এবং নিজের লেখায় গল্পের গঠন নিয়ে নানাবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন, এমনকি বলেছেন (মুনিরা সুলতানাকে) “ফর্ম এবং কনটেন্ট দুটো আলাদা বিষয় নয়। ফর্মটাই বিষয়”, সেই দেবেশ রায়ও জীবনের একেবারে শেষদিকে বলেছেন (শমীক ঘোষকে) “আমি নিজেকে সাহিত্যিক বলি না। বলি কথোয়াল। স্টোরিটেলার।” অতএব গল্পকে বাতিল করা সম্ভবত কাজের কথাও নয়। গল্পে গল্প থাকবে, নাকি একখানা সন্দর্ভ হয়ে ওঠাই তার কর্তব্য – সেসব তর্ক শেষ হবার নয়। কিন্তু গল্পকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার সমস্যা হল, অনেক গল্প না বলাই থেকে যায়। এত বড় পৃথিবী, এত মানুষ, একেক মানুষের মাথার ভিতরে অপরিসীম সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হর্ষ-বিষাদ এবং অবসাদ। সেসব না বলাই থেকে যাবে গল্প, সন্দর্ভ, প্লট, আখ্যান ইত্যাদি জটিল বিতর্কের তাড়নায় – এমন আশঙ্কা ইদানীং আমার মত ছাপোষা পাঠকের মনে ঘনিয়ে ওঠে। গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম গল্পের বই আটটি অবসাদের গল্প এইসব জটিলতার ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছে বলেই স্পর্শ করতে পারে।

গল্পের বইতে ভূমিকা জিনিসটি সুলভ নয়। এ বইতে কিন্তু সাহিত্যিক স্বপন পাণ্ডা ভূমিকা লিখেছেন। সেখানে লেখক সম্পর্কে লিখেছেন “তিনি গল্প বলতে নারাজ। ন্যারেটিভের চলনে তাই কোনও একরৈখিক কাহিনিরও আভাস রাখতে চান না।” দ্বিতীয় বাক্যটার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হয়েও প্রথম বাক্যের সঙ্গে ভিন্নমত হওয়ার অবকাশ রয়েছে। এই কৃশকায় বইয়ের আটটি গল্প পড়ে আমার ঘোরতর ধারণা, গৌতম আসলে গল্পই বলতে চান, কিন্তু স্বগতোক্তির মত করে। কারণ অবসাদ এমন এক ব্যক্তিগত অনুভূতি, যা হাট করে কারোর কাছে কেউ বলতে চায় না। অথচ স্ববিরোধ এই, যে অবসাদ যার আছে সে আসলে প্রবল একাকিত্বের শিকার – কারোর কাছে নিজের কথা বলতে পারলে হালকা বোধ করত। এ বইয়ের প্রত্যেকটি লেখাই আসলে সেই একা মানুষটির গল্প, যে ভাবছে – “সকল লোকের মাঝে ব’সে/আমার নিজের মুদ্রাদোষে/আমি একা হতেছি আলাদা?” এগুলো এমন গল্প, যেগুলো না বলে থাকা যাচ্ছে না, অথচ খুব বেশি লোক না শুনলেই যেন লেখক আশ্বস্ত বোধ করবেন।

নইলে কেন লেখা হবে ‘আমাদের একজন’ গল্পের এইসব লাইন?

‘কোনখানে? কোন্ দিকে? আর কতক্ষণ গো?’ তার মনে হয় পেছন থেকে মিনমিন করে ওঠে কোনো একজন। কেউ শুনতে পায় না; কেউ উত্তর দেয় না। আগুপিছু করে সবাই আগের মতন হেঁটে চলে। সে চোখ বোজে। হঠাৎ করে কথা বলে ওঠা মানুষের স্বর; অনিশ্চয়তায়, এলোমেলো করে ফেলা কতগুলো পায়ের শব্দ, দু-কান চুঁইয়ে তার করোটির ভেতর প্রবেশ করে।

এই চূড়ান্ত ব্যক্তিগত গল্প লেখক কেন বলতে চান তা স্পষ্ট বোঝা যায় যখন হৃদয়ঙ্গম হয়, যে আমাদের এই একজন শুধুমাত্র একজন নয়। আমরা অনেকেই বা প্রত্যেকেই। কারণ একটু পরেই লেখা হয়

…তারই মতন মুখ, চোখ, নাক, হাতের লোকটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে বলে, “সরে দাঁড়াও। ভেতরে যাব।” লোকটা আরও একটু কুঁকড়ে গিয়ে সরে দাঁড়ায়। সে ভেতরের দিকে যেতে যেতে শুনতে পায় তার থেকে আরও একটু খাটো লোকটার ভারী গলা, “কী ম্যাডাম, কোথায় চললেন!”

আবার খানিক পরে

…এই সদ্য প্রাপ্ত ন্যাংটো কমনীয় শরীরের আস্তরণের তলায় মেয়েছেলেটি অল্প অল্প ছটফট করে আর তার মনে হয় এখন এই শরীরের ওপরে সে খালি পায়ে হাঁটতে পারে যেমন একটু আগে তাদের উপদলটি হেঁটেছিল জলাভূমির ওপর ফেলা নরম মাটির ওপরে। মেয়েটি এখন আদতে একটা নরম বিছানার সমার্থক। সে শূন্য বিছানার ওপর উপুড় হয়।

 তোমার হাতে ওটা কীসের বই দেখি। তাদের সঙ্গে এতক্ষণ নীরবে হেঁটে চলা মানুষটা তার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে। হাত থেকে বইটা নিয়ে আপাত গম্ভীর লোকটা উলটে-পালটে কিছুক্ষণ দেখে এক জায়গায় থেমে যায়। শান্ত ভাবে বলে, “এই লেখাটা তো আমার অনুবাদ করা।”

পাঠক সামান্য অন্যমনস্ক হলেই খেই হারিয়ে ফেলবেন। কারণ গল্পকার আপন মনে বলে চলেছেন, শুনতে হলে কান খাড়া করে একেবারে তাঁর ঠোঁটের কাছে গিয়ে শুনতে হবে। অত কষ্ট করতে যে পাঠক রাজি নয়, তাকে অবসাদের গল্প কেনই বা শোনাতে যাবে কেউ?

সারা পৃথিবীর সংবাদমাধ্যমে দুরকম সংবাদের আধিক্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে – ১) আত্মহত্যার খবর, ২) সাদা কলারের চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের খবর। একথা কারোর অজানা নয় যে মানুষ অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করতে পারে এবং চাকরি গেলে অবসাদ তৈরি হতে পারে। বিশেষত সাদা কলারের শ্রমিকরা – যাঁরা বংশগৌরব, ডিগ্রির গৌরব এবং সামাজিক অপমানের আশঙ্কায় কারখানার শ্রমিকদের মত চাকরি গেলে অন্য কোনো কায়িক শ্রমে যুক্ত হতে পারেন না – তাঁরা যে অবসাদের শিকার হতে পারেন, একথা বুঝতে মনস্তত্ত্ববিদ হওয়ার দরকার পড়ে না। ২০০৮-০৯ সালের আর্থিক মন্দার সময়ে, তারপর কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে এমন বহু মানুষ অবসাদের শিকার হয়েছেন, আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ দুম করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হিসাবের খাতায় সেগুলো স্বাভাবিক মৃত্যু। অনেকে কোনোমতে টিকে গেছেন, কিন্তু আমূল বদলে গেছে জীবনযাত্রা। বাংলা গল্পে এঁদের বড় একটা দেখা যায় না। কম্পিউটার, সফটওয়্যার, হ্যাকিং – এসব আসে নেহাত প্রপ হিসাবে, গল্পের সময়কাল বোঝাতে বা আধুনিকতা আরোপ করতে। কখনো বা মৃদু পর্নোগ্রাফিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে। এসবের পিছনের থাকা মানুষগুলো আসে না। গৌতম না লিখলে গ্রে হ্যাট হ্যাকারের অবসাদের গল্প কে লিখত কে জানে!

তবে কেবল বিষয়ের অভিনবত্বে চমকে দেওয়ার মত গল্প গৌতম একটিও লেখেননি। বোঝা যায় তাঁর তা উদ্দেশ্যই নয়। ‘রোহনের যেসব কথা কেউ কেউ জানে’ গল্পে মাত্র ১১ পাতায় তিনি একবিংশ শতকের পুঁজিবাদের সমস্ত জালনিবদ্ধ রোহিতের গল্প লিখে ফেলেছেন, বয়ানটা একজন গ্রে হ্যাট হ্যাকারের – এই যা। যে পাঠক কখনো ছাঁটাই হয়েছেন বা গত কয়েক মাসে বিশ্বব্যাপী সাদা কলারের চাকরিতে ছাঁটাইয়ের খবরে শঙ্কিত হয়ে প্রতি মুহূর্তে সকলের চোখ এড়িয়ে নিজের মেলবক্স দেখছেন, তাঁকে বলে দিতে হবে না নিচের অনুচ্ছেদটির সাহিত্য মূল্য

এই মনঃস্তত্ত্ব আমার জানা এবং অতি পরিচিত। পিঙ্ক স্লিপ পাওয়ার পর আমি নিজে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন আমার মতন আরও সত্তর জন চাকরি খুইয়েছিল। কেউ কেউ সোজা মদের দোকানে আর কেউ মাঠে ঘাটে সারাদিন ঘুরে বেরিয়েছিল [বেড়িয়েছিল]। আমি ঘণ্টা দুয়েক হেঁটেছিলাম। দিন তিনেক লেগেছিল আমার স্বাভাবিক হতে। আমি তো প্রোগ্রামিং ছাড়া কিছুই জানতাম না। চোখ বুজে ধীরে ধীরে নিজেকে এরপরের সাত বছর হাতের কাছে যা কাজ পেয়েছি, যে কাজ পেয়েছি তাই করতে নিজেকে বাধ্য করেছি। গুচ্ছের পর্ন ওয়েবসাইট আর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে দিয়েছি, কখন [কখনও] যে কোম্পানিতে কাজ করেছি তাদের জন্য, কখনও এককভাবে। এ ছাড়াও বানিয়েছি হাজার হাজার জুয়াচুরি আর জালিয়াতি করবার অ্যাপ্লিকেশন। এইভাবেই ধীরে ধীরে একসময় হ্যাকিং-এর প্রতি আমার আগ্রহ জন্মায়।

তবে আনমনে গল্প বলার যে শৈলী এ বইতে প্রতিষ্ঠা করেছেন গৌতম, এই গল্পের শেষ অনুচ্ছেদ প্রায় ইশতেহার হয়ে উঠে সেই শৈলীর সঙ্গে শত্রুতা করেছে।

আগ্রহীরা গুগলে ‘union for software professionals India’ দিয়ে সার্চ মেরে দেখতে পারেন

এই লাইনটির অবসাদের গল্পে জায়গা পাওয়ার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। আর যা বেসুরে বেজেছে তা হল ‘স্ক্রিপ্ট’ গল্পটি। আলাদাভাবে এটি একটি চমৎকার গল্প, অত্যন্ত মনোগ্রাহী, শেষ পর্যায়ে একেবারে শ্বাসরোধকারী থ্রিলার। কিন্তু কোনোভাবেই অবসাদের গল্প নয়।

আমাদের অর্থনৈতিক অসহায়তায় অবসাদ ইতিমধ্যেই অতিমারীতে পরিণত হয়েছে। সম্মিলিত অন্যমনস্কতায় আমরা তা খেয়াল করি না। অর্থনৈতিক অসহায়তা কীভাবে যৌনতাকে প্রভাবিত করে তা অননুকরণীয় ভঙ্গিতে লিখেছিলেন অশোক মিত্র। সেই ১৯৬৮ সালে তিনি লিখেছিলেন “সংসারে সংস্থান নেই, দেড়শো-দুশো টাকার আয়ে বাবা-মা-তিন ভাই-এক পুত্রবধূ-দুই অনূঢ়া বোন-তিন ভ্রাতুষ্পুত্র-পুত্রীর অন্নের জোগান, ভাইয়ের বেকার-ব’সে থাকা, বাবার যক্ষ্মা, বর্ষায় শৌচাগারের-শয়নঘরের একাকার হয়ে-যাওয়া, অভাব, মেজাজ-খারাপ, পরস্পরকে দোষারোপ, কান্না, তিক্ততা, মনের সুকোমল বৃত্তিগুলির ধীরে ধীরে শুকিয়ে-আসা। এই পরিবেশে, এমনকি তেইশ বছরের আপাত-উঠতি শরীরেও, স্তন আর স্তন থাকে না, দুদিনেই তা হেলে প’ড়ে মাই হয়ে যায়।”

গৌতম লিখেছেন আজকের যৌনতার বয়ান

আমার অবসন্ন মন হারিয়ে যায় বিকেলের হলুদ সমুদ্রে; আচ্ছন্ন হয় হাজার হাজার কদাকার হলুদ ঢেউয়ের স্মৃতিতে। আমার ক্লান্ত শরীর আছড়ে পড়ে পৌলমীর শীর্ণ লাল শরীরের ওপর, একটু আশ্রয়ের খোঁজে। কোনো আধমরা গাছের শেকড়ের মতন আমি পৌলমীর শরীর হাতড়ে বেড়াই একটু বাঁচার তাগিদে। পৌলমী আঁকড়ে ধরে বিজ্ঞাপনের লাল আলোয় দেখা অলীক অতিমানবকে, একটু নির্ভরতা পাওয়ার জন্য। গাঢ় অন্ধকারে ডুবে যাওয়া শহরের বৈশিষ্ট্যহীন রাতে আমাদের মন, আমাদের চেতনা, আমাদের শরীর আস্তে আস্তে খোলস ছাড়ে। আশায়, নিরাশায়, ক্ষোভে, যন্ত্রণায়, করুণ আর্তিতে আমাদের শরীর ক্রমাগত ডেকে চলে। সমুদ্রের পাড়ে ঢেউ ভাঙার শব্দে, তুচ্ছ শব্দের মতন আমাদের গোঙানি চাপা পড়ে যায়। হোটেলের ঘরের চার দেয়াল নির্লিপ্তভাবে আমাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে। ধীরে ধীরে আরও একটি রাত হারিয়ে যায়।

গল্পটির নাম ‘হলুদ সমুদ্র’। নীল সমুদ্রকে দুজন ভরা যৌবনের নারী-পুরুষের কেন হলুদ মনে হয়, কেন একটির পর একটি রাত মধুময় হয়ে ওঠে না, হারিয়ে যায় – তা জানতে গেলে পৌঁছতে হবে গল্পের শেষ লাইনে। তাই বলছি, গৌতম গল্পই বলেছেন এবং কান খাড়া করে, টানটান হয়ে বসে শোনার মত গল্প বলেছেন। সামান্য এলিয়ে বসলেও এসব গল্প কানে ঢুকবে না।

আরও পড়ুন দিলীপবাবুর দান: জীবনানন্দ দাশ

আলাদা করে বলা দরকার এই বইয়ের প্রচ্ছদের কথা। গাঢ় নীল প্রেক্ষাপটের উপর কালো চৌকো জায়গার মধ্যে একটি মুখের ছবি এঁকেছেন সর্বজিৎ সরকার। সম্ভবত কল্পনাটি এসেছে ‘মুখাবয়ব: একটা সময়ের বিবরণ’ নামক অবর্ণনীয় গল্পটি থেকে। কিন্তু অবসাদগ্রস্ত মানুষের মুখ কেমন করে আঁকা যায়? একবিংশ শতকের যেসব মানুষের অবসাদের গল্প গৌতম লিখেছেন, তাদের মুখ তো দেবদাস ছবির দিলীপকুমার বা শেষ অঙ্ক ছবির শেষদিকের উত্তমকুমারের মত হতে পারে না। কারণ এদের অবসাদের কারণ আরও আধুনিক বলে আরও ব্যাপ্ত, আরও গভীর। সর্বজিতের ছবি বরং মনে পড়িয়ে দেয় এদভার্দ মুঙ্কের ‘দ্য স্ক্রিম’ নামের ছবিটিকে। প্রচ্ছদের এই মানুষটি যদি চিৎকার করতে পারত, তাহলে বোধহয় তাকে মুঙ্কের ছবির মানুষটির মতই দেখাত। কিন্তু অবসাদ তো চিৎকৃত হয় না, নীরবে কুরে কুরে খায়। ভিতরের সেই ক্ষয় ছবিতে ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। এ যুগের অবসাদ তো আসলে এক বিপন্ন বিস্ময়, যা আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে। গৌতম সেই বিপন্ন বিস্ময়ের গল্প লিখেছেন, সর্বজিৎ প্রচ্ছদে ফুটিয়ে তুলেছেন।

আটটি অবসাদের গল্প
লেখক: গৌতম চক্রবর্তী
প্রচ্ছদ: সর্বজিৎ সরকার
প্রকাশক: কেতাব-ই
দাম: ২০০ টাকা

নাগরিক ডট নেটে প্রকাশিত