
পশ্চিমবঙ্গে তখন বামফ্রন্ট সরকার। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিপিএম নেতৃত্বে কেন তরুণ প্রজন্মকে দেখা যাচ্ছে না তা নিয়ে প্রবল আলোচনা চতুর্দিকে। কোনো এক সাংবাদিক সম্মেলনে তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সিপিএমের প্রতিনিধি যা বলেছিলেন তা অনেকটা এইরকম — গরীব খেটে খাওয়া মানুষের জন্যে যেসব তরুণ কাজ করতে চান, তাঁরা আমাদের পার্টিতে স্বাগত। কমিউনিস্ট পার্টিতে নেতৃত্বে আসা এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কাজের মধ্যে দিয়েই সংগঠন তার নেতা খুঁজে নেয়। কিন্তু নেতা হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি করা যায় না। নেতা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলে আমাদের পার্টিতে আসবেন না।
সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিকে এই সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবেদনে উদ্বেগ সহকারে লেখা হয়েছিল, সিপিএম নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন না যুবসমাজের উপর এই বিবৃতির কীরকম বিরূপ প্রভাব পড়বে। সিপিএম কি বলতে চাইছে কারোর যদি জীবনের লক্ষ্য হয় পরবর্তী অনিল বিশ্বাস বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হওয়া, তার জন্যে পার্টিতে কোনো জায়গা নেই? বামপন্থীরা আবার প্রমাণ করল তারা যুবসমাজের অ্যাম্বিশনকে কোনো দাম দেয় না।
অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও অনুরূপ সমালোচনা হয়েছিল। এই বিশুদ্ধতা কার্যক্ষেত্রে সিপিএম কতটা বজায় রেখেছিল, সকলের জন্য একইভাবে রেখেছিল কিনা, কতজন নানাবিধ কায়েমী স্বার্থ নিয়েই সেই আমলে সিপিএম বা অন্য বাম দলগুলোতে ঢুকে পড়েছিল বিভিন্ন স্তরে — তা ভিন্ন আলোচনার বিষয় এবং সে আলোচনায় সিপিএমের অন্ধকার দিকগুলোই নিশ্চিতভাবে বেশি আলোকিত হবে। কিন্তু এই সহস্রাব্দের গোড়ায় একটা ক্ষমতাসীন দল বলছে নেতা হতে চাইলে আমাদের দলে আসবেন না, মানুষের জন্য কাজ করতে চাইলে আসুন। আর সে জন্যে সংবাদমাধ্যম তাদের নিন্দা করছে — এ কথা মনে পড়লে বুঝতে অসুবিধা হয় না, কেন দেশ আজকের অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। সেদিন সোশাল মিডিয়া ছিল না। থাকলে সেখানেও যে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত সংবাদমাধ্যমের সাথে মিলে যেত, তা বলাই বাহুল্য। আসলে রাজনীতি যে আর পাঁচটা পেশার মতই একটা পেশা, তেমনটা হওয়াই যে কাম্য — একথা অর্থনৈতিক উদারীকরণের ভারতে সযত্নে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আজ অমিত শাহকে ব্রিফকেস নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখে যাঁরা নীতি-নৈতিকতার কথা তোলেন, তাঁরাই অনেকে ওই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার পুরোভাগে ছিলেন।
অ্যাম্বিশন, কেরিয়ার — এই শব্দগুলো যদি রাজনীতির জগতে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে, তার অনিবার্য ফল প্রশান্ত কিশোর, অমিত শাহ। এবং কানহাইয়া কুমার। কাঁটাবিহীন গোলাপ হয় না। টাকার বিনিময়ে যে কোনো পার্টিকে ভোটে জেতানোর চেষ্টা করা যার পেশা, সেই প্রশান্ত কিশোরকে জিনিয়াস বলব; আর অমিত শাহ টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনে নিলে গেল গেল রব তুলব — এটা যে দ্বিচারিতা, তা স্বীকার করার সময় এসে গেছে। না করলে অমিত শাহদের শক্তি বাড়তেই থাকবে। তেমনি কানহাইয়া কুমার সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে গেলে খুশি হব, বলব সে এমন একটা পার্টিতে গেল যেখানে ওর প্রতিভা কাজে লাগবে; আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিজেপিতে গেলেই (ক্যাপ্টেন এখনো যাননি, এই লেখার সময় অমিত শাহের সাথে দেখা করবেন বলে খবর) জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করল বলে চেঁচাব, তা হয় না। রাজনীতির নীতিহীনতা নিয়ে যত বড় বড় কথাই বলা বা লেখা হোক, আসলে ও নিয়ে আমাদের কারোর মাথাব্যথা নেই। মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে শুধুমাত্র নীতিহীনতার ফলটা আমাদের পছন্দের দলের পক্ষে না গেলে।
এই সত্য মেনে নিয়ে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে আলোচিত বামপন্থী কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে আলোচনা করা যাক।
কানহাইয়া কেন সবচেয়ে আলোচিত? তিনি কি বিপুল ব্যবধানে কোনো নির্বাচনে জিতেছেন? না। তিনি কোনো বিরাট গণআন্দোলন সংগঠিত করেছেন? না। আসলে কানহাইয়া পাদপ্রদীপের আলো সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন বলে সবচেয়ে আলোচিত। অকারণে পাননি। কমিউনিস্টদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাকে প্রায় কৌলীন্যের লক্ষণ বলে ধরা হত, ছাত্রাবস্থাতেই সেই কারাবাস তাঁকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছে। একেবারে প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতাদের মতই অকারণে, সম্পূর্ণ সাজানো কেসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটা ঘটেছিল ভারতের রাজধানীতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টার নাম জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, স্বভাবতই দেশের সব টিভি ক্যামেরার চোখ পড়েছিল তাঁর উপর। নিঃসংশয়ে বলা যায়, কানহাইয়া নামক সেলিব্রিটির জন্ম হল হাজতবাস কাটিয়ে ফিরে আসার রাত্রে, যখন তিনি ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে এক দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন। প্রায় সব চব্বিশ ঘন্টার নিউজ চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হল। সেদিন থেকেই রাজ্যসভা বা লোকসভার যে কোনো বামপন্থী সাংসদের চেয়েও সাধারণ ভারতীয়ের কাছে বেশি পরিচিত মুখ হয়ে উঠলেন কানহাইয়া। নিঃসন্দেহে তিনি সুবক্তা, তাই মুহুর্মুহু বিভিন্ন চ্যানেলের বিতর্কসভায় ডাক আসতে থাকল, কিছুদিনের মধ্যেই বইয়ের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হল। এদিকে নিরাশায়, আলোহীনতায় ডুবে থাকা বাম দলগুলোর কর্মী, সমর্থকরা খড়কুটোর মত কানহাইয়াকে আঁকড়ে ধরলেন। কমিউনিস্ট হলেই বা, তাঁদের জন্ম ভারতে। আর ভারত হল অবতারবাদের দেশ, অবচেতনে সে মতবাদ সকলের মধ্যেই ঢুকে বসে আছে। কানহাইয়া কোথাও পাঁচ মিনিট কথা বললেও সে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কানহাইয়া আরও বেশি করে আলোচিত হয়েছেন।
এসবের মধ্যে দিয়ে কানহাইয়ার একটি গুণই জনসমক্ষে এসেছে — তিনি সুবক্তা। মুশকিল হল রাজনীতি মানে শুধু বক্তৃতা দেওয়া নয়। কিন্তু সেকথা আমরা ভুলে গেছি বা বলা যায় ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিকে যেমন পেশা বা কেরিয়ার করে তোলা হয়েছে আমাদের চোখে, তেমনি একে পারফর্মিং আর্টও করে তোলা হয়েছে। যে সেরা বক্তৃতা দেয়, সে-ই সেরা নেতা। কার বক্তৃতা কত হাজার শেয়ার হয়, কতগুলো লাইক পড়ে — সেগুলোই তার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার প্রমাণ। মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পর্যাপ্ত হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা নেতাসুলভ নয়। মৃত মানুষের জন্য ক্যামেরার সামনে কাঁদা নেতাসুলভ। নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার নেতার কর্তব্য নয়, এক গোড়ালি জলে দাঁড়িয়ে তদারক করা নেতাসুলভ। মিডিয়া আমাদের এমনটাই শিখিয়েছে। কে নেতা আর কে নেতা নয়, তা আর কাজ দিয়ে বিচার হয় না। মিডিয়া যাকে বেশি দেখায় তাকেই সবাই চেনে, সে-ই নেতা। কানহাইয়াকে সেই কারণেই অনেকের মনে হয়েছিল বামপন্থীদের আশা ভরসা। ইতিমধ্যে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তিনি নিজের জায়গা বেগুসরাইতে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কুণাল কামরা, স্বরা ভাস্করের মত বিখ্যাতরা তাঁর হয়ে মাঠে নেমে প্রচার করেছিলেন; বহু বিখ্যাত, অখ্যাত মানুষ অনলাইন প্রচার করেছিলেন, ক্রাউড ফান্ডিং করে তাঁর জন্য টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু বেগুসরাইয়ে সিপিআই দীর্ঘকাল ধরে যা ভোট পেয়ে আসছে, তার চেয়ে খুব বেশি ভোট কিন্তু কানহাইয়া পাননি। তাতেও বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের মনে তাঁকে নিয়ে আশা বজায় থেকেছে। কানহাইয়া যেন ম্যায় আজাদ হুঁ ছবির অমিতাভ বচ্চন। মিডিয়াই তাঁকে নেতা বানিয়ে ফেলল, তাঁকে কেবল কয়েকটা ভাল বক্তৃতা দিতে হল। মনে রাখা ভাল, কানহাইয়ার প্রতি যা যা অবিচার হয়েছিল, তার সবগুলোই উমর খালিদের প্রতিও হয়েছিল। কিন্তু মিডিয়া তাঁকে তত দেখায়নি, তাঁর দেওয়া স্লোগান নিয়ে র্যাপ তৈরি হয়নি। হয়ত তাই তিনি আমাদের চোখে নেতা হয়ে ওঠেননি, এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউএপিএ মামলায় জেলে পচছেন, অভিযোগের শুনানি পর্যন্ত হয়নি।
মুশকিল হল, কেবল কমিউনিস্ট পার্টি নয়, ভারতের কোনো পার্টির ইতিহাসেই স্রেফ পাদপ্রদীপের আলো পেয়ে কেউ নেতা হয়ে উঠতে পারেনি। ইন্দিরা গান্ধীর পরিবারের সদস্য হয়েও রাহুল গান্ধী আজ পর্যন্ত পারেননি। কানহাইয়ার অমন বংশপরিচয় নেই, ফলে তাঁর পক্ষে পেরে ওঠা আরও শক্ত। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা করার চেয়ে বেশি জরুরি, কানহাইয়ার দল বদল এ দেশের কমিউনিস্টদের সম্বন্ধে কী প্রমাণ করে তা নিয়ে আলোচনা করা। কমিউনিস্টরা দল পাল্টান না, আর কমিউনিস্ট পার্টিতে যে কেউ ঢুকতে পারে না — এই দুটো কথাই যে আর সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মত সত্য নেই তা পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছুদিন আগেই বোঝা গেছে। সম্প্রতি কেরালাতেও এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে সাদরে সিপিএমে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কানহাইয়ার ঘটনা বরং দেখাল, বামপন্থী ছাত্রনেতাদের রঙিন চশমা পরে দেখা বন্ধ করা উচিত। সিপিএমে বৃদ্ধতন্ত্র চলে এ অভিযোগ পুরনো। তা নিয়ে গোড়াতেই আলোচনা করা হয়েছে। সিপিআই নেতাদের মধ্যেও খুব যে তরুণ মুখ চোখে পড়ে এমন নয়। গত কয়েক বছরে এই সমালোচনা কাটিয়ে উঠতে দু দলের নেতাদের মধ্যেই সচেতন প্রয়াস দেখা গেছে। কানহাইয়া তার সুফল পেয়েছেন; যেমন পেয়েছেন সিপিএমের মীনাক্ষী, সৃজন, ঐশী, দীপ্সিতা, প্রতীকুর, পৃথারা। কিন্তু এঁদের সবাইকে তুলে আনা হয়েছে ছাত্র, যুব ফ্রন্ট থেকে। এঁদের নিয়ে সাধারণ সমর্থকরাও যারপরনাই আহ্লাদিত হয়েছেন, অথচ ভোট মিটে যাওয়ার পর এঁরা কে কোথায় তা বোঝা শক্ত হয়ে উঠেছে। তরুণ কৃষক নেতা বা শ্রমিক নেতা কি নেই, নাকি তারা ঝকঝকে চেহারার নয়, সুবক্তা নয় বলে ফুটেজ পাবে না — তাই তাদের সামনে আনা হয় না? কানহাইয়া কিন্তু দেখিয়ে দিলেন, আজকের ছাত্রনেতা মানেই সীতারাম ইয়েচুরি নয়, যে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রথম হয়েও আজীবন মন্ত্রী সান্ত্রী হওয়ার আশা না করে কমিউনিস্ট পার্টি করে যাবে। ছাত্রনেতা মানেই দীপঙ্কর ভট্টাচার্য নয়, যে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হয়ে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের মত প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেও বিদেশে মোটা মাইনের চাকরি নিয়ে চলে না গিয়ে বিহারের চাষাভুষোদের মধ্যে রাজনীতি করবে। মার্কস গুলে খাওয়া সত্ত্বেও পুঁজিবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা তেজস্বী সূর্যদের চেয়ে কানহাইয়া কুমারদের মধ্যে কম নয়। মার্কসবাদ যে তা বলেও না, একথা কমিউনিস্ট দলগুলোকে আবার স্মরণ করতে হবে।
শোনা যাচ্ছে কানহাইয়া কুমার এবং গুজরাতের নেতা জিগ্নেশ মেওয়ানির কংগ্রেসে যোগদান খোদ রাহুল গান্ধীর ইচ্ছায়। যিনি ন্যূনতম আয় প্রকল্পের কথা বলেন, ২০২১ সালে নাম করে ভারতের ক্রোনি পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, বিজেপিকে অতিক্রম করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভারতীয়ত্বের ধারণার বিরুদ্ধে বারবার বলেন, তাঁকে বৃহত্তর অর্থে বামপন্থী বলতে আপত্তি করার কারণ নেই। কিন্তু সে বামপন্থা কি ভারতের দুর্বল হয়ে পড়া কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিকল্প? দল হিসাবে কংগ্রেসের ইতিহাস দেখলে তা বলা শক্ত। অতএব সেই যুক্তিতে কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদানে যে বামপন্থীরা খুশি, তাঁরা কদিন পরেই “যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই” বলতে শুরু করবেন সম্ভবত।
একই কবিতা রাহুলকেও আওড়াতে হতে পারে। জিগ্নেশের গণআন্দোলন গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা হয়ত নড়বড়ে গুজরাত বিজেপির বিপক্ষে কংগ্রেসের কাজে লাগবে, কিন্তু স্রেফ বাগ্মিতার জোরে কানহাইয়া বিহারে কংগ্রেসকে শক্ত জমিতে দাঁড় করাতে পারবেন — এমনটা এখুনি ভাবা যাচ্ছে না। লিবারেশন, সিপিএম এবং সিপিআইয়ে কানহাইয়ার প্রাক্তন কমরেডরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে অনেকটাই এগিয়ে। পার্টি সংগঠন তুলে নিয়ে যাওয়া এয়ার কন্ডিশনার খুলে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।
https://nagorik.net/ এ প্রকাশিত। ছবি উইকিপিডিয়া থেকে