স্বর্গসুখ

lenin

১৯৮৯-৯১ এ যখন সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় হয় তখন সারা পৃথিবীজুড়ে শোনা গিয়েছিল এই প্রতিশ্রুতি যে পুঁজিবাদের শুধু চূড়ান্ত বিজয়ই হয়নি, সারা পৃথিবীর মানুষকে এবার থেকে পুঁজিবাদ দারিদ্র্য, অশিক্ষা, স্বাস্থ্যের অভাব — এসব থেকে মুক্তির পথ দেখাবে, পৃথিবীতে স্বর্গ নামিয়ে আনতে পারে পুঁজিবাদই।
রাত পোহালেই ৭ই নভেম্বর। বিপ্লবের বাতিল ঘোড়ার বয়স ১০০ পূর্ণ হবে। আজ প্রকাশ পেল প্যারাডাইস পেপার্স। বছর দেড়েক আগের পানামা পেপার্সের পর আবার আমরা জানতে পারছি দুনিয়ার বড় বড় ধনীরা কিভাবে গণতান্ত্রিক দেশের কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের গুপ্তধন কোথায় লুকিয়ে রাখে। গত কুড়ি বছরে উদারনৈতিক গণতন্ত্র কি দারুণ সফল হয়েছে সম্পদের সুষম বন্টনে, সেটাও বুঝতে পারছি। কেমন স্বর্গ নেমে এসেছে পৃথিবীতে তাও দেখতে পাচ্ছি। স্পষ্টতই পুঁজিবাদের কোন বিকল্প নেই। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় চেসেস্কুর মত বাথরুমে সোনার কল লাগানোর সাহস কারো হয় না, তাই বারমুডা দ্বীপে যক্ষের কাছে গুপ্তধন রাখা হয়। গুপ্তধন, যক্ষ, রানী, মহানায়ক, খলনায়কের বউ — সব মিলিয়ে জমজমাট রূপকথা একেবারে। আহা! একেই তো বলে স্বর্গসুখ। সত্যিই পুঁজিবাদ পথ দেখাচ্ছে। প্যারাডাইস মানেটা যেন কী?

Author: Pratik

সাংবাদিক, লেখক। কাজ করেছেন দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ডেকান ক্রনিকল, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য স্টেটসম্যান এবং অধুনালুপ্ত দ্য বেঙ্গল পোস্টে। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও কাগজে লেখালিখি করেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন।

Leave a Reply

%d bloggers like this: